Sunday 20 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অরিত্রী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চার্জশিট গ্রহণ


৩০ এপ্রিল ২০১৯ ২০:৪৪ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ২১:১৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগের মামলায় দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত দুই আসামি হলেন— স্কুলের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা।

এদিন মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। এদিন মামলার বাদী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী আদালতে হাজির হন। চার্জশিটের বিষয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই বলে তিনি আদালতকে জানান। এরপর আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) জাহিদুল কবীর বরাবর নথি পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সিএমএম আদালত নথিটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেবেন।

এর আগে, গত ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

এ মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত ৯ ডিসেম্বর জামিন পান তিনি। অন্যদিকে, গত ১৪ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকেকে বরখাস্ত করা হয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

অরিত্রী অরিত্রী অধিকারী অরিত্রীর আত্মহত্যা চার্জশিট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর