দেশে নেশা জাতীয় পণ্য আমদানি হয় না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ২২:০৪
সংসদ ভবন থেকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশে হেরোইন ও ফেনসিডিলসহ নেশা জাতীয় পণ্যের আমদানি করা হয় না। আর নেশা জাতীয় পণ্য আমদানি ও বিক্রেতাদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সংসদে রংপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঁঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে এসব কথা বলেন।
রাঙার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তারিখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এমআরপির সব তথ্য অধিদফতরে ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বাহকের সব তথ্য অধিদফতরের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত রয়েছে। তাছাড়া ই-পাসপোর্ট প্রণয়নের লক্ষ্যে ডাটা সেন্টারটি আরও অত্যাধুনিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে পাসপোর্টের তথ্য সংরক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরায় এ সংক্রান্ত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত ডাটা সেন্টারের অনুরূপ যশোরে একটি ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার রয়েছে, যা পাসপোর্টের ডাটা সেন্টারের ব্যাকআপ হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের অংশ হিসেবে এটাকে আরও আধুনিয়কায়ন করা হবে।
পুলিশে কর্মরত পুলিশের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭২৪ জন
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সংশ্লিষ্ট জেলা বা ইউনিট থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত জনবলের মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্মরত পুলিশের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭২৪ জন। তার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং মহিলা ১৩ হাজার ৩৯১জন।
এছাড়া পুরুষ ও মহিলার সংখ্যানুপাত ১:১৩:৯। কর্মক্ষেত্রে নারীর আরও অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়নসহ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেফ গ্রহণ করেছে যাতে নারীর অধিক হারে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করতে পারেন।
হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের স্বার্থে থানা সংলগ্ন আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণের আপাতত সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে, পর্যায়ক্রমে থানাগুলোর প্রয়োজন অনুসারে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা বা ইউনিট থেকে চাহিদার ভিত্তিতে থানা কোয়ার্টার নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই