নিষেধাজ্ঞা শেষ, মেঘনায় নামছেন জেলেরা
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ২২:৫৫
লক্ষ্মীপুর: দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর মঙ্গলবার থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে নামছেন জেলেরা। তাই জাল ও নৌকার সব ধরনের কাজ সেরে তারা এখন মেঘনায় জাল ফেলার অপেক্ষায়। দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর এখন নদীতে মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে তারা খুশি।
তবে মেঘনায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা যাবে না বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ্।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হিসেবে লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের অধিকাংশই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিবন্ধিত রয়েছে ৪২ হাজার জেলে। কিন্তু তালিকায় অন্তভূক্ত করা হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার জেলে। ২৭ হাজার জেলের নাম নাই তালিকায়। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত।
কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়নের জেলে হাছান মাঝি, হারুন মাঝি, নুর-নবীসহ জেলেরা জানান, জেলে পূর্ণবাসনের চাউল না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এছাড়া অন্যান্য জেলেদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানরা পছন্দের লোকজনদেরকে টোকেনের মাধ্যমে চাল বিতরণ করছেন। সরকারি বরাদ্দের চাল পাননি অনেকে।
রামগতির আলেকজান্ডারের জেলে নিজাম উদ্দিন জানান, সরকারি বরাদ্দের চাল না পেলেও তিনি নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনায় মাছ ধরতে যাননি। তবে উচ্ছেদ অভিযানের আগে আড়তসহ বরফকলগুলো বন্ধ করা হলে জেলেরা আর নদীতে নামতেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জাটকা শিকার বন্ধে লক্ষ্মীপুর কোস্ট গার্ড ফোর্স ও ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, কোস্টগার্ডে সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা দরকার ছিল। কিছু অভিযান হলেও স্থানীয় দাদনদার মৎস্য আড়তদারদের চাপ থাকায় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামতে বাধ্য হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ্ জানান, কিছু অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকারে নামছিলেন। পরে ওই জেলেরা ধরা পড়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময়ে আইন অমান্যকারী জেলেদের জেল- জরিমানা ও মামলা করা হয়েছে। কারেন্ট জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এমএইচ