১০০ গজ দূরে পদ্মাসেতুর দ্বিতীয় স্প্যান
২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ২০:৩৮
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
শরীয়তপুর : আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ হলে শনিবারই পদ্মাসেতুর জাজিরা পয়েন্ট দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হবে—কর্তৃপক্ষ এমন প্রস্তুতির কথা জানালেও স্প্যানটি শেষ পর্যন্ত বসানো যায়নি।
নদীতে নাব্যতা কম থাকায় বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি পিলারে কাছে আসতে পারেনি।
সারাবাংলার শরীয়তপুর প্রতিনিধি মানিক মোল্লা সরেজমিন ঘুরে জানিয়েছেন, পদ্মাসেতুর জাজিরা পয়েন্টে নদীর পানি কমে গেছে। এ কারণে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি এখনো পৌঁছতে পারেনি। বর্তমানে ক্রেনটি পিলার থেকে ১০০ গজ দূরে রয়েছে।
সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সারাবাংলার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যে সব অংশে পানি কম, ক্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে সেখানে রোববার ড্রেজিং করা হবে। এরপর স্প্যানটি পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। রোববার স্প্যানটি বসানো যাবে বলে আশাবাদ সেতু কর্তৃপক্ষের।
সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে ১৫০ মিটার এই স্প্যানটি বসানো হবে। সেতুতে এরকম আরও ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় স্প্যানটি গত ২০ জানুয়ারি বিকেলে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ১৫০ মিটার স্প্যানটির ওজন ৩২০০ টন। ৩ হাজার ৭০০ টন ওজনের একটি ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে সেটি আনা হয়েছে। ওই ক্রেনটি দিয়েই খুঁটির ওপরে স্প্যানটি বসানো হবে।
ধারণা করা হয়েছিল তিনদিনেই স্প্যানটি পিলারের কাছে পৌঁছবে। কিন্তু নদীতে প্রচণ্ড কুয়াশা, নাব্যতা সংকট থাকায় ভাসমান ক্রেনটি ধীর গতিতে চলে। ফলে পিলার অংশে আসতে এরইমধ্যে সময় লেগেছে আটদিন।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান,এর আগে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির মধ্যে প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর চার মাস পর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হচ্ছে। এ স্প্যানটিসহ মোট ১২টি স্প্যান রয়েছে মাওয়া কন্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। দুটিতে রংয়ের কাজ চলছে। ওই দুটি স্প্যান ফ্রেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে বসানো হবে।
জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় (তীরের কাছের অংশ) ৪০ নম্বরটি পিলারটি স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারটির ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ওই দুটি পিলার প্রস্তুত হতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।
সারাবাংলা/একে