টাকা না পেয়েই মামিকে খুন
১ মে ২০১৯ ১৫:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর কোরবানিগঞ্জে ব্যবসায়ীর স্ত্রী রোকসানা বেগম হত্যার কারণ জানতে পেরেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত যুবক সোহেল গ্রেফতারের পর পুলিশকে জানিয়েছে- অভাব মেটাতে ৩০ হাজার টাকার জন্য দূর সম্পর্কের মামি রোকসানার কাছে গিয়েছিল সে। টাকা চেয়ে না পেয়ে সে রোকসানকে খুন করে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোকসানার স্বামী সোহেলের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। সোহেল খাতুনগঞ্জে টুকটাক ব্যবসা করতো। সেই ব্যবসায় লসের পর তার পাঁচ সের বাসা ভাড়া ২৮ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে যায়। টাকার জন্য মূলত সে ওই বাসায় গিয়েছিল। টাকা না দিলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এর একপর্যায়ে সে খুন করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে খুন, লুটপাট
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার কোরবানিগঞ্জে আমিন ভবনের চতুর্থ তলায় নিজ বাসায় খুন হন রোকসানা বেগম (৪৫)। তিনি নগরীর খাতুনগঞ্জের গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এম এ কাশেম ট্রেডিংয়ের মালিক আবুল কাশেমের স্ত্রী।
রোকসানাকে খুনের পর বাসার ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া পালিয়ে যাবার সময় তার ছেলে আব্দুল আজিজ (২১) এবং প্রতিবেশী আব্দুস সোবহানকেও (৬২) ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত দু’জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার রাতেই চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোহেলের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায়। নগরীর মিয়া খাননগরে বেলা থান মসজিদের পাশে নুরুল হক হাজীর কলোনিতে তার বাসা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর স্ত্রী খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুনের পর সোহেল ওই বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন, ইমিটেশন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। সে চলে যাবার সময় রাস্তায় সিসি ক্যামেরায় তার ছবি সংরক্ষিত হয়ে যায়। সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা সোহেলকে শনাক্ত করি। এছাড়া ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছি।’
গ্রেফতার অভিযানে যাওয়া নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নেবেল চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুনের পর সোহেল প্রথমে খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকায় গিয়ে নিজের পোশাক পরিবর্তন করে। সেগুলো মার্কেটের তিনতলায় বাথরুমে রেখে পালিয়ে যায় কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকায়। সেখান থেকে রাতে আমরা তাকে গ্রেফতার করি।’
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে জানান, খুনের পর রাস্তা থেকে ছোরাটি উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর সোহেলের স্বীকারোক্তিমতে বাকি মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ