‘মানব কল্যাণ ও টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন পারমাণবিক শক্তি’
১ মে ২০১৯ ১৬:১৭
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, গবেষণা, সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তাসহ মানবজাতির কল্যাণে আমরা পারমাণবিক শক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি। এছাড়া, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে পারমাণবিক শক্তি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদর-দফতরে ‘পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তি (এনপিটি) অনুস্বাক্ষরকারীদের রিভিউ সম্মেলন ২০২০’-এর প্রস্তুতি কমিটির ৩য় সেশনের বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ তার প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এনপিটি’র পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, এই প্রতিশ্রুতি এসেছে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত নীতি-আদর্শ থেকে।
এ বিষয়ে তিনি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা প্রদত্ত বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাই সেই সকল প্রচেষ্টাকে, যার লক্ষ্য বিশ্বে উত্তেজনা হ্রাস করা, অস্ত্র প্রতিযোগিতা সীমিত করা এবং পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান নীতি জোরদার করা।’
মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিরোধ চুক্তি, রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক কনভেনশন, বায়োলজিক্যাল অস্ত্র বিষয়ক কনভেনশন, ব্যাপক-ভিত্তিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিরোধ চুক্তি ও অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তিসহ নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সকল প্রধান প্রধান বহুপাক্ষিক চুক্তিসমূহে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী দেশ।
পারমানবিক অস্ত্র ও পারমানবিক ফিউশন সরঞ্জাম ভুল হাতে পড়ার ক্ষেত্রে উদ্ভূত সম্ভাব্য হুমকির ভয়াবহতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মাসুদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সারাবাংলা/এনএইচ
জাতিসংঘে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন