Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন অব্যাহত থাকবে : জোকো উইডোডো


২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:২৭

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : ‘বসত-ভিটা থেকে বিতাড়িত এবং চলমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদার মানবতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রতি ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’

ঢাকা সফররত ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো শনিবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে এ কথা বলেন। কূটনৈতিক একটি সূত্র সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সফররত ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর সম্মানে শনিবার বঙ্গভবনে নৈশ ভোজের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া ও মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নৈশভোজ অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে জোকো উইডোডোকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নৈশভোজ উপলক্ষে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বঙ্গভনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম স্বাগত জানান। দুই রাষ্ট্রপতির মধ্যে বৈঠক শেষে তারা নৈশভোজে অংশ নেন।

প্রেস সচিব আরো জানান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন চান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। জবাবে জোকো উইডোডো রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

জোজো উইডোডো রোববার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের রূপকার বীর সেনাদের প্রতি সম্মান জানাবেন। সাভার থেকে তিনি যাবেন ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডি থেকে রোববার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো’র দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর দুপুরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবেন জোজো উইডোডো। সেখানে তিনি একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি আলাপ করবেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সোমবার সকালে আফগানিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন, সন্ত্রাস নির্মূল, গবেষণা, প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানিখাতে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ইনকা পিটি ইন্ডাস্ট্রি কারেটা এপিআইয়ের সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৭৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭০ টাকার একটি চুক্তি করে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৩ বছরের মধ্যে ইস্পাতের তৈরি ২০০ কোচ বাংলাদেশ রেলওয়েকে সরবরাহ করবে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।

এ ছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাকার্তায় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতের একটি সমাঝোতা স্মারক সই করা হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ঢাকাতে তরল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে জাকার্তা।

বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি এবং ক্ষদ্র ঋণ কর্মসূচির প্রতি ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহ রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জ্ঞান কাজে লাগাতে চায় দেশটি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর