গতি বেড়ে আরও শক্তিশালী ফণী, আঘাত হানবে শুক্রবার সন্ধ্যায়
২ মে ২০১৯ ১৪:২০
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে না গিয়ে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার ( ২ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান,ফণীর গতি বেড়ে এটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। শুক্রবার বিকেল কিংবা সন্ধ্যা নাগাদ ফণী সরাসরি কিংবা ভারত হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, এটি যদি সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানে তবে তা রূপ নেবে সুপার সাইক্লোনে। আমরা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখেছি ফণী ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। কিন্তু দুপুরের পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে ফণী বেশ শক্তিশালী হয়ে গেছে। এখন তার গতি বেড়েছে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল ৪ মের পর এটি আঘাত হানতে পারে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তার আগেই আগামীকাল শুক্রবার বিকেল কিংবা সন্ধ্যা নাগাদ এটি সরাসরি কিংবা ভারত হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানবে। তবে যদি এটি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানে তাহলে সুপার সাইক্লোনের মত রূপ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরছে জাহাজ, পণ্য ওঠানামা বন্ধ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় হলেও বাংলাদেশের জন্য তেমন কোনো রেকর্ড নেই। কারণ এর আগে ১৯৯১ ও ২০০৭ সালে ঘুর্ণিঝড় হয়। সেসময়ও বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২০ থেকে ২২৫ এর মত। সে তুলনায় ফণীর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৮০ থেকে ২০০ পর্যন্ত হতে পারে। যা বর্তমানে ঘন্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ গতিবেগে চলছে।
এর আগে দুপুর বারোটায় আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য ও ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পরিচালক বলেন, ঘুর্ণিঝড় ফণী পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক বন্দর মংলা থেকে এটি ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এটি আগামীকাল সকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিম বঙ্গের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ওই এলাকা সমূহ অতিক্রম করে এটি বাংলাদেশের খুলনা এবং আশপাশের যে উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে এসমস্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি আগমন করতে পারে। এসময় এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এর গতিবেগ আছে ঘন্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
জ্যেষ্ঠ এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামীকাল বিকেল থেকে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও মেঘাচ্ছন্ন এবং হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এটি হবে ফণীর অগ্রভাগের প্রভাবে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ৪ থেকে ৫ ফুট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় সেসময় ঘন্টায় ৯০ থেকে ১০০ বেগে দমকা বা ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য সমুদ্রে চলাচল করা নৌযান ও ট্রলারসগুলোকে সাবধানে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএইচ/জেডএফ