Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড় কেটে উজাড় করছে প্রভাবশালী মহল


২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ২৩:১৮

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষামনি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে শ্রমিক নেতা মনির মিয়া পাহাড় কেটে বিলীন করার দুদিনের মধ্যেই আবারো একটি বিশাল পাহাড় কেটে দুভাগ করেছেন লন্ডন প্রবাসী রকিবুল হক। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই পাহাড়টি কেটে দুভাগ করে রাস্তা তৈরি করেছেন তিনি।

এলাকাবাসী জানান, লন্ডন প্রবাসী রকিবুল হক পাহাড়ের শেষ মাথায় রিসোর্ট তৈরি করার পরিকল্পনায় উক্ত পাহাড়টিকে দুভাগে কেটে মধ্যখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন। কিছুদিন ধরে প্রকাশ্যেই রিসোর্টে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করার জন্য পাহাড়টিকে কেটেছেন। কোন ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কাও করছেন না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশ্বেরুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়টি ডিসি সাহেবের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদফতরকে জানানো হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরাসরি মামলা করতে পারি না তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মামলা করতে হবে। আমি তহশিলদারকে রিপোর্ট দিতে বলে দিয়েছি তা হাতে পেলেই ডিসি স্যারের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হবে।

দুদিন আগেই মনির মিয়া নামে একজন শ্রমিক নেতা সদর ইউনিয়নের বিষামনি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড় কেটেছেন উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে তহশিলদারকে দিয়ে বাদী করে মামলা করার কথা ছিল এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা সরাসরি মামলা করতে পারি না এটা লিখিত ভাবে ডিসি স্যারের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিবেশবাদী ও সমাজ সেবামূলক সংগঠন পাহাড় রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির সিলেট বিভাগের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ ক্ষোভের সঙ্গে জানান, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ! প্রশাসন যদি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে প্রতিনিয়ত রিসোর্ট তৈরি বা বিভিন্ন কিছুর নামে কেউ পাহাড় কাটার সাহস করত না।

তিনি আরো বলেন প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই দিনদিন পাহাড় কাটা বেড়ে চলছে।

আজ শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডলোছড়া লিচু বাড়ি এলাকায় জঙ্গল বাড়ি রিসোর্টের পাশেই উঁচু পাহাড়টির মধ্য অংশ ইতোমধ্যেই কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে!এলাকার মানুষ জানান, তারা দিনরাত আতংকে থাকেন। বললেন, যেকোনো সময়ই পাহাড় ধ্বসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যদি মনে করেন কোনো কার্যক্রম পরিবেশ বিধ্বংসী, তবে তিনি যে কোনো কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন।

১৯৯২ সালের পরিবেশ নীতি ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমের ৬(৪) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ‘পাহাড়ি অঞ্চলে মাটি কেটে সমান করা, মাটি খোদাই ও অপসারণ করে কোনো এলাকার ভূমির প্রাকৃতিক অবস্থা বিনষ্ট করা, পাহাড় থেকে যথেচ্ছভাবে মাটি ও পাথর আহরণ করে এমন প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টির কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর