ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে প্রস্তুতি
২ মে ২০১৯ ১৮:৩৬
রাঙ্গামাটি: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে। ইতোমধ্যে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলার দশ উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হবে। সার্বক্ষণিক জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে।
সভায় রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমাদের পূর্বের দুর্যোগ কমিটিগুলো নিয়ে বসা হয়েছে। আমাদের পৌরসভা এলাকাধীন ১২০টির অধিক স্থায়ী পাড়া কমিটি রয়েছে। মেয়র বলেন, আমরা আর কোনো প্রাণ হারাতে চাই না। বিগত দিনে আমাদের অনেক প্রাণ হারাতে হয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শংকর চন্দ্র পাল, রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাঙ্গামাটির সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম, স্কাউট নেতা নুরুল আবছার, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শফি কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নজরুল ইসলামসহ রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ১৩ জুন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর পরের বছর ২০১৮ সালের ১২ জুন জেলার নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে ১১জনের প্রাণহানি ঘটে।
সারাবাংলা/এনএইচ