ঘূর্ণিঝড় ফণীর নামকরণ করেছে বাংলাদেশ
২ মে ২০১৯ ২২:২৩
ঘুর্নিঝড় ফণী রীতিমতো কালঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে আবহাওয়াবিদদের। ফণীর জেরে ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ এই তিন রাজ্যে হুলস্থুল হতে পারে। প্রভাব পড়বে বাংলা দেশেও। ঝড় আসতে পারে ২১০ কিলোমিটার বেগে। কলকাতার ওপর দিয়ে ফণী বয়ে যাবে ১১০ কিলোমিটার বেগে।
ফণী কথাটি এলো কোথা থেকে? দিলই বা কে এই নাম। ফণী কথাটির অর্থ সাপের ফণা। বিষধর সাপ। যার ছোবলের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঝড়কে সেই হিসেবেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। ফণী শব্দটি এসেছে উর্দু শব্দ ফেনি থেকে।
উত্তর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে যে ঘুর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার নামকরণ করে মূলত আটটি দেশ। এবারের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্থান, ওমান, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, এই দেশগুলি ঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ আটটি করে নাম তালিকাভুক্ত করে। মোট ৬৪টি নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। সেখান থেকে একটি নাম বাঁছাই করা হয়। এবারেও ৬৪টি নাম ছিল। প্রতিটি দেশের একবার করে ঝড়ের নাম দিতে পারবে। এবারের নাম রাখার ভার ছিল বাংলাদেশের। আর ফণী নামটি বাঁছাই করেছে বাংলাদেশ। ঘুর্ণিঝড়ের জোর, তার ক্ষমতা বুঝে এই নাম রাখা হয়েছে।
গত বছর তিতলি নামের ঝড়টি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছিল। তিতলি নামটি রেখেছিল পাকিস্থান। ২০১৭ সালে কেরালার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘুর্ণিঝড় অক্ষি বা আঁখি। এই নামটি রেখেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতের দেওয়া ঘুর্ণিঝড়ের নামগুলোর মধ্যে আছে- অগ্নি, আকাশ, জাল, লহের, বিজলি, বায়ু, সাগর, মেঘ।
সারাবাংলা/এমআই