ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নোয়াখালী
৩ মে ২০১৯ ০৩:৪১
ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগোতে থাকা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় ২৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। এছাড়াও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সব ধরনের নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে হাতিয়ায় সব ধরনের নৌ-চলাচলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় চার উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে লাল পতাকা উত্তোলন ও মাইকে প্রচার করে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফণী মোকাবিলায় জেলায় ২৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র, সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২০০ শ মেট্রিকটন চাল ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ১০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৩২টি মাটির কেল্লা ও সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য ও জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।
তিনি আরও জানান, আশ্রয়কেন্দ্র ও মাটির কেল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও দুর্যোগকালীন তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে নগদ তিন লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের পাঁচটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিম ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং ও সতর্কীকরণ পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস