সাতক্ষীরায় প্রস্তুত ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র
৩ মে ২০১৯ ০৭:০২
ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ইতোমধ্যে ১৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গত দুদিনে দুই দফা জরুরি সভাও করেছেন। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল সভায় জানান, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণী সমূহ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
এজন্য সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে সর্তক থাকতে হবে। ইতোমধ্যে জেলায় সাত নং বিপদ সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় আরও বলা হয়, জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়। ইতোমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর ০৪৭১৬৩২৮১।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বেলায় ৩২ শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১১৬ টন চাল, ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃহ নির্মাণে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে। সভায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করে বলা হয়, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর সর্তক সংকেত আসলে উপকূলীয় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হবে। যতদূর সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হবে। সংকেত প্রচারে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস