জামালপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণ
২৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:১০
জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানীপাড়া গ্রামে অপহরণের পর এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করার পর শনিবার রাতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দুই শিক্ষার্থীর বাড়ি দেওয়ানীপাড়ায়।
ধর্ষিতা ও তার পরিবারের অভিযোগ, দেওয়ানীপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার রাত থেকে দুইদিন ব্যাপী ইসলামী ধর্মসভা শুরু হয়। নারী প্যান্ডেলের গেট থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় তাদের দুইজনকে কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ সাব্বির হোসেন আকন্দ সেতু ও তার সহযোগী মোঃ রিফাত, মোঃ বাবু, মোঃ মিনহাজ ও মোঃ শাকিলসহ ৭/৮ জনের একটি দল অপহরণ করে। অপহরণের পর এলাকাবাসী শুক্রবার রাতেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটিকে ওই অনুষ্ঠানের দুইশ মিটার দূরের একটি জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করে। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আর অপহৃত এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শনিবার স্থানীয় আবিরার চরের একটি খোলা মাঠ থেকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে। নির্যাতিত শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তার সাথে পাশবিক নির্যাতনের সময় ভিডিও করা হয়েছে। ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও প্রকাশ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আল্লামা ইকবাল জানান, ধর্ষনের অভিযোগে শনিবার রাতে ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে আজ রোববার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে।
স্কুল শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল ছাত্রীর নির্যাতনের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং নির্যাতিত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ওসি নাছিমুল ইসলাম ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/টিএম