উড়িষ্যায় ৩ জনের প্রাণ নিলো ফণী
৩ মে ২০১৯ ১৭:২৯
ঢাকা: ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উড়িষ্যার পুরিতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির একাধিক গণমাধ্যম জানায়, সকালে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানে। এতে ওই অঞ্চলের গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ‘টুথপিকে’র মতো উড়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে পুরির জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা ঘাবড়াবেন না, পুরো জাতি উড়িষ্যার সঙ্গে আছে। ধৈর্যের সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলা করুন।’
এদিকে, ভারতের নৌ বাহিনীর তিনটি জাহাজ শাহিয়ার্দি, রণবীর ও কাডমাট জরুরি ত্রাণ ও সেবা নিয়ে উড়িষ্যায় পৌঁছেছে।
উড়িষ্যার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিজেপি নেতা চৌকিদার জয় পান্ডে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘বিগত ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিগুলো টুথপিকের মতো উড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয় টেলিভিশন স্টেশন বিকল হয়ে গেছে। আমাদের এখন ত্রাণ, সেবা এবং সবকিছু নতুন করে গোছাতে হবে।’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে পুরির বেশিরভাগ জায়গা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপকূলীয় এই অঞ্চলে প্রায় ১১ লাখ লোকের বসবাস। যদিও অধিকাংশ জনগণকে আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও জানা গেছে, উড়িষ্যায় মারা যাওয়া তিন জনের মধ্যে একজন রয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী নারী। তিনি কেন্দ্রপাড়ার আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের সময় তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।
পুরিতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছের আঘাতে একজন কিশোর মারা গেছে। এছাড়া নয়াগড় জেলার একজন নারীকে ফণীর প্রবল বেগে উড়িয়ে নিয়ে একটি ভবনের ওপর আছড়ে ফেলে, এতে ওই নারী মারা যান।
সারাবাংলা/জেআইএল/এটি