Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সকাল নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে ফণী


৪ মে ২০১৯ ০৩:১৭

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার (০৪ মে) সকাল নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পাশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। ভোরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের উপকূলীয় উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি স্থলভাগের উপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার (০৪ মে) সকাল নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনায় পৌঁছাতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ এবং এর উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার (০৩ মে) সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব অব্যহত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার—যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্ণীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্ণীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার রাত ১০ টায় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী খুলনার উপকূল দিয়ে প্রবেশের পরিবর্তে সাতক্ষীরা-নড়াইলের উত্তর দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২১ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। সাতক্ষীরার উত্তর দিকে নড়াইল, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাগঞ্জ হয়ে ক্রমশ তা আরও উত্তর দিকে চলে যাবে। বাংলাদেশে এটি ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা অবস্থান করবে।

পরিচালক আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

সারাবাংলা/এজেড/এনএইচ

ঘূর্ণিঝড় ফণী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর