ব্যাখ্যা দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজন হাইকোর্টে
২৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:০৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ফৌজদারি মামলায় ‘পুলিশ হেফাজতে থাকা’ ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজন হাজির হয়েছেন হাইকোর্টে রোববার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ হাজির হয়েছেন।
লোহাগাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মাহবুব আলম, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান ও ওই থানার এসআই হেলাল খান ও ওয়াসিম মিয়াকে আগামী ২৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে গত ১৪ জানুয়ারি রুলসহ এ আদেশ দেন।
ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজা সাজানো বলে কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং যারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রিট আবেদনকারীকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রসচিব, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর রাত নয়টায় লোহাগাড়ার বেলাল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন একটি ফৌজদারি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের জব্দ তালিকায় দেখা যায়, ১৩ অক্টোবর রাত নয়টায় বেলালের কাছ থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
কিন্তু ইউএনও পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪ অক্টোবর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় বেলালকে আট মাসের জেল দেন। এরপর ‘সাজানো’ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেন মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন।
সারাবাংলা/এজেডকে/টিএম