থাইল্যান্ডের নতুন রাজা ভাজিরালংকর্নের (৬৬) সিংহাসন আরোহণ ও মুকুট পরানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। তিন দিনব্যাপী চলবে এই অনুষ্ঠান। শনিবার (৪ মে) অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে তার মাথায় ৭.৩ কেজি ওজনের একটি মুকুট পড়ানো হয়েছে। মুকুটটি ‘গ্রেট ভিকটোরি ক্রাউন’ নামে পরিচিত। খবর বিবিসির।
শনিবার স্থানীয় সময় ১০টা ৯ মিনিটে শুরু হয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মুকুট পড়ানোর পর নিজের প্রথম রাজ নির্দেশ দেন রাজা। নির্দেশে নিজের বাবার মতো ন্যায়নিষ্ঠতার সঙ্গে শাসনের প্রতিশ্রুতি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় ৭০ বছর সিংহাসনে থাকার পর তার পিতা সাবেক রাজা ভূমিবল আদুল্যাদেজ ২০১৬ সালে মারা যান। তারপর থেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে রাজার দায়িত্ব পালন করতে থাকেন ভাজিরালংকর্ন। তবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করবেন তিনি।
এদিকে, অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মুকুট পড়ানো ছাড়া রাজাকে পবিত্র বা নির্ভেজাল মানুষ হিসেবে পরিণত করতে বিশুদ্ধ পানি ছিটানো হবে। দেশের ১০০টি স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এই পানি।
কয়েকদিন আগেই রাজপ্রাসাদ থেকে তার নতুন বিয়ের আকস্মিক ঘোষণা দেয়া হয়। বলা হয়, নিজের দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী ও দেহরক্ষী সুতিদাকে বিয়ে করে রাণীর মর্যাদা দিয়েছেন ভাজিরালংকর্ন।
থাইল্যান্ডে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত। কিন্তু জনগণের কাছে ভীষণভাবে সম্মানিত রাজপরিবার। রাজপরিবারের রয়েছে বিশাল ক্ষমতা। এছাড়া দেশটিতে রয়েছে লেসে ম্যাজেস্টি নামে পরিচিত এক কঠোর আইন। এই আইন অনুসারে, রাজপরিবারের সমালোচনা নিষিদ্ধ। এই আইনের অধীনে রাজপরিবার জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মুক্ত রাখে।
সিংহাসনে আরোহণ এমন একটি সময়ে ঘটছে যখন দেশে রাজনীতি অনিশ্চিত। গত ২৪ মার্চ দেশে একটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। তারপর প্রথম নির্বাচন ছিল এটি। কিন্তু এখনও নতুন সরকার ঘোষণা হয়নি।
সারাবাংলা/আরএ