Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশের জ্ঞান কাজে লাগাতে চায় ইন্দোনেশিয়া


২৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:৩০

এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির প্রশংসা করলেন সফররত ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। এ ছাড়া দারিদ্র বিমোচন ও ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি বিষয়ক বাংলাদেশের জ্ঞান কাজে লাগাতে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি।

সফররত ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকের পর কূটনৈতিক সূত্রগুলো সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বৈঠক শেষে দুইদেশের মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা সংক্রান্ত চুক্তি ছাড়াও দুইদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক আয়োজনে সমঝোতা, মৎস্যসম্পদ আহরণ সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ সম্মতিপত্র, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) টার্মিনালে অবকাঠামো উন্নয়ন ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এই চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো রোববার সকালে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর সেনাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান। সাভার থেকে জোকো উইদোদো যান রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে।

প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শনিবার বিকেলে ঢাকা সফরে আসলে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাকে বিমান বন্দরে শুভেচ্ছা জানান। এরপর শনিবার রাতে উইদোদোর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

বিজ্ঞাপন

প্রেসিডেন্ট উইদোদো রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর শেষে আগামীকাল সোমবার সকালে আফগানিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থনের জন্য জাকার্তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে ঢাকা। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের থার্ড কমিটি এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে ঢাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে জাকার্তা। সামনের দিনগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির আরও সমর্থন পেতে চায় ঢাকা।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন, সন্ত্রাস নির্মূল, গবেষণা, প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ইনকা পিটি ইন্ডাস্ট্রি কারেটা এপিআইয়ের সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৭৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭০ টাকার একটি চুক্তি করে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৩ বছরের মধ্যে ইস্পাতের তৈরি ২০০ রেল-কোচ বাংলাদেশ রেলওয়েকে সরবরাহ করবে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।

সারাবাংলা/জেআইএল/এসআরপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর