‘বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব না’
৪ মে ২০১৯ ১৬:২৩
ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে, আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তাকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে তীব্র আন্দোলনে নামতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী। গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটের অধিকারের স্বার্থে খালেদা জিয়া কখনো কোনো সমঝোতা প্রস্তাবে রাজি হয়ে জেল থেকে বের হবেন না।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে জিয়া আদর্শ একাডেমি এই সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব হোসেন আরও বলেন, “সম্পূর্ণ বেআইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। যদি ধরে নেওয়া হয়, মামলায় আনা অভিযোগ সঠিক, তাহলে এই ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে ৭ বছরের কারাদণ্ড কিংবা আর্থিক জরিমানা। ক্রিমিনাল ল’তে সাধারণত এই ধরনের মামলায় জামিন না দেওয়ার কোনো নজির নেই। কিন্তু আদালত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেননি। বরং পাঁচ বছর থেকে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।”
“এই হলো আমাদের বিচার ব্যবস্থা। তাই আমি বারবার বলেছি, এই বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তাকে মুক্ত করতে হলে আমাদের রাজপথে তীব্র আন্দোলনে নামতে হবে। দেশের জনগণ আমাদের পাশে আছে”- বলেন মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একটি বার্তা প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে তিনি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তারেক যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তবে তার মাকে কারামুক্ত করা হবে না। এ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বন্দি রাখা হয়েছে।”
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি ২৫০টি আসন পেতো। সাধারণ জনগণ, নির্বাচন কমিশন এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এই নির্বাচনে কারচুপি প্রত্যক্ষ করেছে। যে কারণে এখন পর্যন্ত কোনো ইউরোপিয়ান গণতান্ত্রিক দেশ শেখ হাসিনাকে তাদের দেশে আমন্ত্রণ জানায়নি।”
জিয়া আদর্শ একাডেমির সভাপতি মো. আজম খানের প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জুবেদ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের মল্লিক, কৃষক দলের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল, কৃষক দলের সদস্য রকিবুল ইসলাম রিপন, ওলামা দলের (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অনেকে।
সারাবাংলা/ওএম/এটি