যেভাবে হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিল সেন্ট ম্যারি’স গির্জা
৫ মে ২০১৯ ১২:৫৮
শ্রীলংকায় ভয়াবহ সেই হামলার দিন প্রথমেই আঘাত হানার কথা ছিল ব্যাট্টিকালোয়ার সেন্ট ম্যারি’স ক্যাথেড্রালে। কিন্তু হামলাকারী মোহাম্মদ নাসার আজার সকাল সাড়ে ৮টায় যখন গির্জাটির সামনে পৌঁছান ততক্ষণে সেখানে ইস্টার সানডের প্রার্থণা শেষ। ফলে পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয় তাকে।
সেন্ট ম্যারি’জ ক্যাথেড্রালের বিশপ জোসেফ পন্নিয়াহর বরাত দিয়ে সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে।
জোসেফ পন্নিয়াহ বলেন, তিনি (আজার) একটি গাড়িতে করে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এখানে আসে। তখন অন্যরা তাকে জানায় যে এখানে প্রার্থনা শেষ। তখন তিনি অন্য গির্জার পথে রওনা দেন। আর পাশের জিওন গির্জার মূল ফটবে গিয়ে সেখানে হামলা চালান তিনি।
শ্রীলংকা হামলা: কে এই মাস্টারমাইন্ড জাহরান হাশিম?
অর্থাৎ সময়ের কিছুটা হেরফেরের কারণে বেঁচে গেছেন সেন্ট ম্যারি’স ক্যাথেড্রালে প্রার্থনা করতে আসা শতাধিক মানুষ।
সিএনএনের প্রতিবেদনে যুক্ত করা এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সকাল ৮টা ৫১ মিনিটের দিকে গির্জার পাশের সরু গলি দিয়ে গোলাপি টি শার্ট পরা আজার হেঁটে যাচ্ছেন। তার কাঁধে রয়েছে একটি নীল রঙের ভারী ব্যাকপ্যাক। এই একই ধরনের ব্যাগ অন্য আত্মঘাতী হামলাকারীরাও ব্যবহার করেছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে জিওর গির্জায় সে সময় ছিল শিশুদের বিশেষ প্রার্থনা। উপস্থিত ছিলেন ৫০০’রও বেশি মানুষ। তবে কাঁধে ব্যাগপ্যাক আর মাথায় ক্যাপ দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় ওই গির্জার মূল ফটকে দায়িত্ব পালন করা রমেশ আর শশীর। তারা এতোকিছু নিয়ে আজারকে গির্জায় প্রবেশ করতে দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মূল ফটকেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটান আজার। এতে রমেশ আর শশীসহ ২৯জন মারা যান। কিন্তু বেঁচে যান আরও শতাধিক মানুষ।
সারাবাংলা/এসএমএন