Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তিনদিন পর সচল চট্টগ্রাম বন্দর


৫ মে ২০১৯ ১৪:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় ফণী’র বিপদ কেটে যাবার পর চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গর থেকে জেটিতে ফিরতে শুরু করেছে জাহাজগুলো। রোববার (৫ মে) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মোট ১৩টি জাহাজ বিভিন্ন জেটিতে পণ্য খালাসের জন্য এসেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে তিনদিন পর আবারও পুরোদমে সচল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের শিডিউল আছে ২৪টি জাহাজের। সকালের জোয়ারের সময় ১৩টি জাহাজ এসেছে। বিকেলের জোয়ারে আসবে আরও ৫টি। স্পেশাল বার্থে বাকিগুলোও বিকেলের মধ্যেই আসবে বলে আশা করছি।’

গত বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট-থ্রি জারি করে। ওইদিন দুপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। জেটি থেকে ২১টি জাহাজকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্হিনোঙ্গরে। বন্দরের জেটি ও ইয়ার্ডে কনটেইনারসহ পণ্য ওঠানামার সরঞ্জামগুলোকে বেঁধে রাখা হয়।

গত শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭০টি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে ফণী’র কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খোলা পণ্য ও কনটেইনার নিয়ে আটকা পড়ে ৪০টি জাহাজ।

ফণী’র প্রভাব কেটে যাওয়ায় বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্ক সংকেত জারির পর শনিবার (৪ মে) বিকেলে থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বিকেল থেকে বন্দরের ইয়ার্ডে শুরু হয় পণ্য ডেলিভারি।

সচিব বলেন, ‘কনটেইনার ও খোলা পণ্য ডেলিভারি গতকাল (শনিবার) বিকেল থেকেই স্বাভাবিক আছে। আজ (রোববার) দুপুর থেকে জেটিতেও জাহাজে পণ্য উঠানামা শুরু হয়েছে।’

তবে সাগর উত্তাল থাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে বর্হিনোঙ্গর এবং দেশের অন্যান্য গন্তব্যে লাইটারেজ জাহাজ, ফিশিং ভেসেলসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল এখনও শুরু হয়নি।

লাইটারেজ জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাগর এখনও উত্তাল। এজন্য লাইটারেজ জাহাজ চালানো যাচ্ছে না।’

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্হিনোঙ্গর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর