শ্রীলংকায় জনগণকে তরবারি ও ছুরি জমা দেওয়ার নির্দেশ
৫ মে ২০১৯ ১৭:৩০
জনগণকে তরবারি ও লম্বা ছুরি জমা দেওয়ার নির্দেশ জানিয়েছে শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ। এই সপ্তাহান্তের মধ্যে অস্ত্রগুলো জমা দিতে হবে। গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডেতে প্রাণঘাতী হামলার পর উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, নিত্যদিনের কাজকর্ম সারতে ব্যবহৃত ছুরি জমা দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকাজুড়ে গির্জা ও হোটেলসহ মোট আট স্থানে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ২৫০ জনের বেশি মানুষ।
শ্রীলংকা পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা বলেন, ওই হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত, কয়েকশ’ অস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, জনগণকে অস্ত্রের পাশাপাশি পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর নকল পোশাকও জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, যারা নির্ধারিত সময়ের ভেতরে উল্লেখিত অস্ত্র ও পোশাক জমা দেবে তাদের জন্য কোনো সরকারি ক্ষমার ব্যবস্থার রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা শনিবার (৪ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বোমা হামলার ঘটনায় চলমান তদন্তে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হামলায় জড়িত থাকা দলের সকল সক্রিয় সদস্যদের চিহ্নিত করেছি। এখন কেবল তাদের গ্রেফতার করা বাকি।
প্রেসিডেন্ট আরও জানান, এই সন্দেহভাজনরা আত্মঘাতী বোমারু ছিলেন কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বিশ্বাস যে, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’ই এই হামলা চালিয়েছিল।
তিনি বলেন, এটা পানির মতো পরিষ্কার কেননা, আইএস হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ হামলার জন্য স্থানীয় দু’টি চরমপন্থি দল- ন্যাশনাল তওহীদ জামাত ও জামাতে মিল্লাথু ইব্রাহিমকে দায়ী করে।
সিরিসেনা জানান, হামলার তদন্তে তাদের সাহায্য করছে আরও আট দেশের গোয়েন্দারা।
সারাবাংলা/আরএ