রৌমারীতে ভিজিডি’র অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
৫ মে ২০১৯ ১৯:২২
কুড়িগ্রাম: দুস্থ নারীদের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কার্ডধারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিযুক্ত এনজিও’র বিরুদ্ধে।
জমানো টাকা না পেয়ে (রোববার) বিকেলে বিক্ষোভ করেন শৌলমারী ইউনিয়নের দুস্থ নারীরা। তাদের অভিযোগ, সেন্টার ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কুড়িগ্রাম’র (সিএসডিকে) মাঠকর্মীরা সঞ্চয়ের টাকা জমাখাতায় না তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, দুস্থ পরিবার থেকে একজন নারীকে দুই বছরের জন্য ভিজিডি কার্ড দেওয়া হয়। চাল উত্তোলনের সময় প্রতি মাসে ২শ’ টাকা করে সঞ্চয় করেন দুস্থ নারীরা। দুই বছর পূর্ণ হলে সঞ্চয়ের টাকা সুদসহ ফেরৎ দেওয়ার নিয়ম।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর ২০১৭-১৮ সালে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নে সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয় সেন্টার ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কুড়িগ্রাম (সিএসডিকে) নামে একটি এনজিওকে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই ইউনিয়নের ৪৪৮ জন নারীর কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়। জানুয়ারি মাসে সঞ্চয়ের অর্থ নিতে গেলে হিসাবে গড়মিল দেখতে পান দুস্থ নারীরা।
এদিন (রোববার) শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সিএসডিকে’ পরিচালক আবু হানিফ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পবন কুমার সরকার, সঞ্চয় গ্রহীতা মাঠকর্মী, ইউপি সদস্যদের অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন কার্ডধারীরা।
চরের গ্রামের চান মিয়ার স্ত্রী সোনাভান জানান, ২৪ মাসে আমি ৪ হাজার ৮শ’ টাকা জমা দিয়েছি। লাভসহ ৯ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন তারা আমাকে ৭৮০ টাকা কম দিচ্ছে। বিরোধিতা করায় তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। একই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের জুখেলা বেগম।
ফকিরপাড়া গ্রামের শাহানাজ (কার্ড নম্বর-৪২৭) সঞ্চয় জমা বই দেখিয়ে বলেন, আমি জমা দিয়েছি ৪ হাজার ৮শ‘ টাকা। কিন্তু জমা বইয়ে তোলা হয়েছে ৪ হাজার ৭শ‘ টাকা। অংকে লেখা হয়েছে মোট ৪ হাজার ৩শ’ টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সিএসডিকে’র পরিচালক আবু হানিফ বলেন, কর্মীরা ভুল করেছেন। সংশোধন করে টাকা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পবন কুমার সরকারও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সারাবাংলা/এটি