আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার বাড়ছে ১৭.১৮ শতাংশ
৬ মে ২০১৯ ০৪:১৭
ঢাকা: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়ছে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০১৯-’২০ অর্থবছরে এডিপির আকার হবে ২ লাখ ২৭২১ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় আগামী অর্থ বছরে এডিপির আকার বাড়ছে ২৯ হাজার ৭২১ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এডিপির এ আকার নির্ধারণ করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় আগামী ৮ মে এডিপির খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে। পরবর্তীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানাগেছে।
সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের জন্য মোট এডিপি বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। তবে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ যোগ হলে এডিপির আকার হয়ত আরও বাড়বে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল সারাবাংলাকে জানান, আগামী অর্থবছরে এডিপি তৈরির সময় বর্তমান সরকারের শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্যসমুহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে অগ্রাধিকার খাতগুলোতে পর্যাপ্ত সম্পদ বরাদ্দের মাধ্যমে উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, পরিবহন, পরিবহন, ভৌত ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, নগর উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণ ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়গুলো যাতে পূরণ হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্ধিত সভার পর এনইসিতে উপস্থাপন করা হবে। তবে এখনো এনইসি সভায় তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরে জন্য খাতভিত্তিক বরাদ্দের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিহন খাত ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হচ্ছে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হচ্ছে, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের গতি কম হওয়ায় চলতি অর্থবছরের মাঝ পথে এসে কাটছাট করে বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপির আকার ধরা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপির তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বাড়বে ৩৫ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৪৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এসময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করতে পেরেছে ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।
সারাবাংলা/জেজে/এসআই