সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা চুরি করল হ্যাকাররা!
২৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:১২
সারাবাংলা ডেস্ক
ঢাকা : নতুন বছরে ডিজিটাল দুনিয়ায় সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল গতকাল। জাপানে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে দেশটির সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিজিটাল অর্থ বিনিময় প্রতিষ্ঠান ‘কয়েনচেক’ ঘোষণা দেয়, প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার (প্রায় চার হাজার চারশ ৬৭ কোটি টাকা) মূল্যমানের ভার্চুয়াল মুদ্রা হাতিয়ে নিয়েছে একদল হ্যাকার।
কয়েনচেকের এ ঘোষণা জাপানের সংবাদমাধ্যম ‘আশাহি শিম্বুনে’ প্রকাশের পরপরই শুরু হয় তোলপাড়। সংবাদমাধমটির খবরের সূত্র ধরে ব্লুমবার্গ জানায়, এটি বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিজিটাল অর্থ চুরির ঘটনা। তবে সংবাদমাধ্যমটির খবরে এত পরিমাণ অর্থ হাতছাড়া হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডিজিটাল মুদ্রা বিশেষজ্ঞরা।
কয়েনচেক কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপানের শিবুহা নগরীতে থাকা প্রতিষ্ঠানটির মুল সার্ভারে হামলা চালিয়েছেন হ্যাকাররা। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, চুরির অর্থ যে ইন্টারনেট ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে, তার খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে এ চুরির সঙ্গে কারা জড়িত তাদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কয়েনচেকের অর্থগুলো ছিল ভার্চুয়াল মুদ্রামান ’ক্রিপ্টোকারেন্সিতে’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এই ভার্চুয়াল ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা কেনা যায়। আর এই অর্থ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভাঙানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে অন্তত কয়েক ধরনের। আর এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে ‘বিটকয়েন’। তবে কয়েনচেক তাদের খোয়া যাওয়া মুদ্রার মধ্যে বিটকয়েন ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, কয়েনচেকের অর্থ খোয়া যাওয়ার খবরের পর বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে চরম অস্থিরতা দেখা গেছে। বিটকয়েন ছাড়া প্রায় সবগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন প্রায় থেমে গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সারাবাংলা/এসবি