কুষ্টিয়ায় দুই হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৭ মে ২০১৯ ১৪:৩৭
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় আলাদা দুটি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ এবং আরেক মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান এবং জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার এসব রায় দেন।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৮ মে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিয়াশিশা গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তুলি খাতুনকে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখেন স্বামী আজাদ মন্ডল। এই ঘটনার দুদিন পর তুলির বাবা আলী হোসেন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার ৫ মাস পরে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান অভিযুক্ত আজাদ মন্ডলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আজাদ মন্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ি এলাকায় কৃষক ডাবলু হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ৭ জুন সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ি এলাকার জি কে ক্যানেলের পাশে থেকে কৃষক ডাবলুর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ২০১০ সালের ৭ জুন নিহতের ভাই আতর আলী বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১ বছর পর ২০১১ সালের জুলাই মাসে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় দেন।
নিহত ডাবলুর পরিবারের অভিযোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পুকুরের লীজ এবং হাটের টোল আদায়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামীদের সাথে শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ডাবলুকে পরিকল্পিতভাবে করা হয়।
সারাবাংলা/এসএমএন