স্থবির গুলিস্তানে যাত্রী ভোগান্তি চরমে
৭ মে ২০১৯ ১৬:৫৬
ঢাকা: পুনর্বাসনের আগ পর্যন্ত তারা ফুটপাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে হকারদের সড়ক অবরোধ আর বিক্ষোভ কর্মসূচীতে স্থবির হয়ে পড়েছে গুলিস্তান এলাকা। হকারদের বাধার মুখে সকাল থেকে ওই এলাকায় আটকা পড়েছে বাস, সিএনজি অটোরিক্সাসহ, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ শত শত যানবাহন। এতে রোজার প্রথমদিনেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই রুটে যাতায়াত করা মানুষরা।
আরও পড়ুন: হকারদের দখলে গুলিস্তান, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ
মঙ্গরবার (৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বা সিএনজি অটোরিক্সায় বসে অপেক্ষা করছেন। কেউ আবার নেমে হাঁটতে শুরু করেছেন। অনেক যাত্রীই প্রথম রোজায় তাদের হয়রানি না করে ব্যারিকেড তুলে নিতে বিক্ষোভকারীদের অনুরোধও করছেন।
হিমালয় পরিবহনে করে শাহবাগ থেকে নারায়নগঞ্জ যাচ্ছিলেন মোবাশ্বেরা জামান সিনথিয়া । তিনি বলেন, সচিবালয়ে মোড়ে দুপুরে দেড়টায় আটকা পড়ি। প্রথমে স্বাভাবিক যানজট ভেবে অনেকক্ষণ বসেছিলাম। পরে জানলাম হকাররা বিক্ষোভে নেমেছে। একঘণ্টা পর নেমে হেঁটে বঙ্গভবন থেকে টিকাটুলি রিকশা নিয়েছে। এমন ভেঙ্গে ভেঙ্গে কতটুকু যেতে পারব জানিনা।একই ধরণের হয়রানির শিকার সরোয়ার আলাম নামের একজন সরকারি কর্মকর্তা । বলেন, চাঁদপুর যাব। মা অসুস্থ। কিন্তু সদরঘাট যাব কিভাবে? সব গাড়িই তো আটকে আছে।
একজন মোটরসাইকেল আরোহী অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনকারীরা আমার গাড়িটি ঘুৃরিয়ে দিয়েছে । তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেছে। পুলিশের গাড়ি আর অ্যাম্বুয়েন্সে ছাড়া আর কোন কিছুই তারা যেতে দিচ্ছে না। রোজায় এমন কষ্ট দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে?
সকাল থেকে ওই এলাকায় আটকে পড়া বিহঙ্গ পরিবহনের বাস চালক তরিকুল বলেন, আমি আজ বাসটা তিনহাজার টাকাই ভাড়া নিছি। কিন্তু একটা খ্যাপও মারতে পারিনি।
শাহবাগ থানান পুলিশ পেট্রল ইন্সপেক্টর (পিআই) বাশার জানান, আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। প্রথম রমজানে মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা পুলিশ হেডকোর্য়াটারে কথা বলেছে। আলোচনা চলছে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে হকার নেতাদের একটি দল নগরভবনের সামনে এখনোও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। অপর দলগুলো ছোট ছোট ভাগে সড়কে অবস্থান নিয়েছে। তারা দড়ি আর ড্রাম ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। এতে সদরঘাট থেকে পল্টন , বঙ্গভবন থেকে বঙ্গমার্কেটের রাস্তা, জিরো পয়েন্ট থেকে স্টেডিয়াম পল্টন মোড়ে আটকা পড়েছে রিক্সা, ট্রাক, বাস, সিএনজি- অকোরিকশা সহ সব ধরণের যানবাহন।
সারাবাংলা/টিএস/ওএম/জেডএফ