মির্জা ফখরুলের আসনে ভোট ২৪ জুন
৮ মে ২০১৯ ১৫:৩৫
ঢাকা: আগামী ২৪ জুন বগুড়া-৬ আসনে ভোট হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচন করে জয় পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সেই আসনটিতেই ভোট নিতে যাচ্ছে ইসি। এর আগে, ১৯৯১ সাল থেকে এই আসনের নিয়মিত প্রার্থী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সম্মেলনে আসনটিতে ভোটের তারিখ ঘোষণা করেন কমিশন সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৭ মে। বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থীরা ৩ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর আসনটিতে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ৪ জুন।
ইসি সচিব আরও জানান, বগুড়া-৬ আসনে ২৪ জুন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট হবে। সবগুলো কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের ৪১ নম্বর আসন বগুড়া-৬ থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদে স্পিকার বলেন, সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের (১) (ক) বিধি অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী যদি কোনো সদস্য শপথ গ্রহণ করতে অসমর্থ হন, সেক্ষেত্রে তার আসনটি শূন্য হয়। এই সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণের অসমর্থ হওয়ায় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮ (৩) বিধি অনুযায়ী শূন্য হওয়া সম্পর্কে সংসদকে অবহিত করার বিধান রয়েছে।
মির্জা ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা করে স্পিকার বলেন, এ অবস্থায় শপথ গ্রহণে অসমর্থ হওয়ায় নির্বাচনি এলাকা ৪১, বগুড়া-৬ থেকে নির্বাচিত সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হলো। বিষয়টি জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮(৩) উপবিধি অনুযায়ী এই সংসদে অবহিত করা হলো। এখন নির্বাচন কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশন বসে গত ৩০ জানুয়ারি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে বিজয়ীদের ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতের মধ্যে শপথ নেওয়ার সুযোগ ছিল নির্বাচনে বিজয়ীদের। বিকল্প হিসেবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে শপথ নিতে সময় চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার সুযোগও ছিল। কিন্তু এর কোনোটিই করেননি মির্জা ফখরুল।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিলেও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে বিজয়ী বাকি পাঁচ প্রার্থীই শপথ নিয়েছেন। ওই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। সে কারণে তাদের বিজয়ী প্রার্থীদের কেউ শুরুতে শপথ নেননি। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাত্র চার দিন আগে, গত ২৫ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত মো. জাহিদুর রহমান। তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। পরে শপথ নেওয়ার নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন ২৯ এপ্রিল বিকেলে বিএনপির বাকি চার প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া ও মোশারফ হোসেন শপথ নেন। শপথ গ্রহণ শেষে তারা জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শপথ নিয়েছেন তারা।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম