তাজরীন কারখানায় আগুনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
৮ মে ২০১৯ ১৯:০৪
ঢাকা: সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
বুধবার (৮ মে) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষীই আদালতে হাজির হননি। এজন্য ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের আগামী ২৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এই মামলায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। এর মধ্যে রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল পলাতক।
২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের পর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের পরিদর্শক এ কে এম মহসীনুজ্জামান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরি নির্গমনের পথ না ছিল না। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয়।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে কারখানার তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন ও পঞ্চম তলায় ১০ জন মারা যান। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১১ জন। সবমিলিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়। আহত হন আরও ১০৪ পোশাককর্মী।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ১১১ জনের মধ্যে ৫৮ জনের লাশ শনাক্ত হওয়ায় তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৩ জনের লাশ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/টিআর