Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১০ মাসে রফতানি আয় ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ডলার


১০ মে ২০১৯ ০১:১৭

ঢাকা: দেশের পণ্য রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি এবং তা নির্দিষ্ট সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিকি ৩৬ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। এরমধ্যে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। বিগত অর্থবছরের তুলনায় এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ। যদিও এই ১০ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে গত এপ্রিল মাসে ৩০৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটি বিগত বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে ২ দশমকি ৬৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিল মাসে রফতানি হয়েছিল ২৯৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের পণ্য।

প্রতিবদেন থেকে জানা গেছে, তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণে সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ২ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলারের বেশি। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। একক মাস হিসেবে গত এপ্রিল মাসে ৩০৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, রফতানি আয়ে তৈরি পোশাকের অবদান ৮৩ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্যান্য রফতানির উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৮ শতাংশেরও বেশি হবে। ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৈরি পোশাক খাত থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক খাতে পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হয়েছে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রফতানিতে ১ হাজার ৪০৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় গত ১০ মাসে নিটওয়্যার খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে ১ হাজার ৪৪০ কোটি ৫৭ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে ৪৫ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে কৃষিপণ্য রফতানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৭৯ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ১০ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত ১০ মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা দুটিই কমেছে। এ সময় আয় এসেছে ৭২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। গত ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। একই সঙ্গে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম হয়েছে। এ সময়ে আয় হয়েছে ৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

১০ মাসে রফতানি আয় ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ডলার আয় প্রবৃদ্ধি রফতানি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর