Wednesday 16 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোনাগাজীর ওসি মোয়াজ্জেম সাময়িক বরখাস্ত


১০ মে ২০১৯ ১১:০২ | আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ১১:৪৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করেছে পুলিশ সদর দফতর। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নির্যাতন ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেমের কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওসি মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে নুসরাত হত্যায় আরও যাদের কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান সোহেল রানা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- নুসরাত হত্যার একমাস: বিচারের অপেক্ষায় স্বজনরা 

এর আগে, গত ১০ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল।

এর আগে, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করতে সোনাগাজী থানায় গিয়েছিলেন নুসরাত। সেখানে তাকে বিভিন্ন প্রশ্নে জর্জরিত করেন ওসি মোয়াজ্জেম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের ভিডিও-ও করেন তারা। শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে গ্রেফতার অবস্থাতেই মামলা তুলে নিতে নুসরাতের পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন অধ্যক্ষ সিরাজ। মামলা তুলে নেওয়া না হলে সহযোগীদের দিয়ে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওই অধ্যক্ষ।

আরও পড়ুন- থানার ভেতরে নুসরাতের ভিডিওধারণ সাইবার ক্রাইম, বললেন আইনজীবীরা

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৬ এপ্রিল নুসরাত পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় গেলে তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। সেখানে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। নুসরাত চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

নুসরাতের মৃত্যুর পর ২৭ মার্চ থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আপত্তিকর প্রশ্ন করা ও ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে, নুসরাত হত্যায় ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল করিম, এসপি এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল ও মো. ইউসুফের গাফিলতির প্রমাণ পায় পুলিশ সদর দফতরের একটি তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাত জাহান রাফি নুসরাত হত্যা সোনাগাজী

বিজ্ঞাপন

বরিশালে এনসিপির পদযাত্রা
১৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর