ঢাবি’তে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগ-হল সংসদ হাতাহাতিতে
১১ মে ২০১৯ ০০:২২
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সিট দখল নিয়ে হল সংসদ ও ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জহুরুল হক হল সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সুরাপ মিয়া সোহাগ হলের ৩৪৭ নম্বর কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন। এই কক্ষের একটি সিট সম্প্রতি খালি হলে সেই সিটে হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান ইমন তার অনুসারীকে তুলে দিতে চান। এটা নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এজিএসের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমনের অনুসারী জাহিদ সুরাপ মিয়াকে ধাক্কা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সেখানে হলের আবাসিক শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম, হল সংসদের ভিপি সাইফুল্লাহ আব্বাসী অনন্ত ও জিএস তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেন।
উল্লেখ্য, জহুরুল হক হল সংসদের এজিএস সুরাপ মিয়া সোহাগ হল ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে এজিএস নির্বাচিত হন। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজুর রহমান ইমন জালিয়াতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
হাতাহাতির বিষয়ে হল সংসদের এজিএস সুরাপ মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ম আছে যে কক্ষে হল সংসদের নেতারা থাকবে, সেখানে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু তারা আমার কক্ষে লোক তুলে দিতে আসে। দরজায় লাথি দিয়েছে, আমাকে একজন ধাক্কা দিয়েছে। এটা আমার জন্য অপমানজনক।’
ঘটনার বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান ইমন বলেন, সিট নিয়ে ঝামেলা আমার সঙ্গে না। শরীফ নামে একজন ওই কক্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় তার ফুপাতো ভাইকে সিট দিয়ে যায়। সে আমার গ্রুপে রাজনীতি করে। এজিএস আমার সঙ্গে হল সংসদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমি তাকে বলেছি, যে সিটটা নিয়ে ঝামেলা তার পরিবর্তে আমাকে অন্য কক্ষে একটি সিট দিতে। কিন্তু তাতেও সে (সুরাপ) রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে আবাসিক শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তারা নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে ফেলেছে বলে আমাকে জানায়। তবে বিষয়টি আমি হল প্রাধ্যক্ষকে অবহিত করবো।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এজিএস সাদ্দাম হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি পুরোপুরি জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব। আর ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের হলগুলোতে যেন অছাত্র, বহিরাগতরা না থাকতে পারে, সে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি। এ জন্য হয়তো কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। তবে এক-দুই মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসস্থল হবে বলে আশা করি।’
সারাবাংলা/কেকে/এটি