মেহেরপুরে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামির মৃত্যু
১১ মে ২০১৯ ০৬:৩০
মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি ইয়াকুব আলী কাজলের (২৩) মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইয়াকুব আলীর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, দুইটি গুলি ও একটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের একটি বাঁশবাগানে ইয়াকুব গুলিবিদ্ধ হন। ইয়াকুব আলীর বাড়ি গাড়াডোব গ্রামে। তার বাবার নাম জালাল উদ্দীন হাবু।
গাংনী থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও এসিড নিক্ষেপের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন ইয়াকুব আলী। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তার কাছে বেশ কয়েকটি অস্ত্র রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে গাড়াডোব গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল।
এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হন ইয়াকুব। সন্ত্রাসী হামলায় চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় ইয়াকুবকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, বলেন সাজেদুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাড়াডোব গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পরে গণধর্ষণ করেন কাজল এবং তার সহযোগীরা। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার পর থেকে ধলা গ্রামে দুঃসম্পর্কের ভগ্নিপতি সেলিম হোসেনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন ইয়াকুব। ওই গ্রামে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ইয়াকুব এক গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বর্তমানে গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সারাবাংলা/এটি