ইরানকে শাসাতে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা
১১ মে ২০১৯ ১১:৪৭
ইরানের সঙ্গে বিবাদের পারদ বাড়িয়েই চলছে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের শক্তি জানান দিতে এবার দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করছে ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। আরও পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস আরলিংটন। এটি জলে এবং স্থলেও সামরিক সহায়তা দিতে সক্ষম। খবর বিবিসির।
গত সপ্তাহে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর হামলার পাঁয়তারা করছে ইরান। তাই সেখানে সামরিক শক্তি বাড়াতে মার্কিন রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন’কে উপসাগরীয় এলাকায় পাঠানো হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইরান কি ধরনের হুমকি তা স্পষ্ট করেনি মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার ঘাঁটিতেও শক্তি বাড়িয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। সেখানে ইউএস বি-৫২ বোম্বার বিমান পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘মানসিক দ্বন্দ্বের’ বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেনি। ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি ‘বিচার-বুদ্ধিহীন’।
তবে ইউসুফ তাবেদাবি নামে ইরানের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা মার্কিন হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, একটি মিসাইলের আঘাতে মার্কিন নৌবহরকে তার দেশ ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, ইরানকে উচ্চমাত্রার পরমাণু প্রযুক্তি ও বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে দেশটির সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল, ছয়টি বৃহৎ শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তবে ২০০৮ সালের ৮ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে ‘এখনো হুমকি’ উল্লেখ করে ওই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। তখন পরমাণু চুক্তি বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে নতুন সংকট শুরু হয়।
এছাড়া, সম্প্রতি ইরানের এলিট বাহিনী ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানও গত ৮ মে ঘোষণা দেয় আবারও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের। সর্বশেষ, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নৌবহর ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিলো।
সারাবাংলা/ এনএইচ
ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বিবাদ