Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালকের ছেলে রাশেদুলের জামিন


১২ মে ২০১৯ ১৪:৪০

ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক ও নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীকে (বাবুল চিশতী) ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১২ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত একেএম ইমরুল কায়েস আসামির দুই মাসের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে আসামি অসুস্থ জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহর হিরু। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আসামি শারিরীক ভাবে অসুস্থ, তার লিভারের সমস্যা রয়েছে। তার চিকিৎসা করা জরুরি।’ তাই যে কোনো শর্তে চিকিৎসার জন্য জামিনের প্রার্থণা করেন তিনি।

অন্যদিকে দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানির শেষে বিচারক চিকিৎসার জন্য দু’মাসের জন্য জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সারাবাংলাকে বলেন, আসামির অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে দুই মাসের জামিন দিয়েছেন। এরপর জামিনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবেনা বলেও জানিয়েছেন।

প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ফারমার্স ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলায় এ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশকতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় নিজ নামে, তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নামে এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ফারমার্স ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন। পরবর্তীতে হিসাবগুলোর মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকের হিসাব থেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা স্থানান্তর করেন।

এ টাকা দিয়ে আবার কখনো নিজেদের নামে কেনা ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। যা সন্দেহজনক লেনদেন এবং মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মামলায় বলা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল ১৬০ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোয় চিঠি দেয় দুদক।

যাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তারা হলেন-ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), তার স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, মাজেদুল হক চিশতী, মেয়ে রিমি চিশতী, রাশেদুল হক চিশতীর স্ত্রী ফারহানা আহমেদ, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি অ্যান্ড সিইও একেএম শামীম, ডিএমডি আব্দুল মোতালেব পাটোয়ারী, এসভিপি গাজী সালাহ্উদ্দিন, ইভিপি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ভিপি লুৎফুল হক, ভিপি মো. মনিরুল হক, এফভিপি মো. তাফাজ্জল হোসেন, এভিপি মোহাম্মদ শামসুল হাসান ভুঁইয়া, এইও মাহবুব আহমেদ ও ইও মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এসএমএন

ফারমার্স ব্যাংক রাশেদুল চিশতী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর