একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে প্রতারণা করলে কঠোরভাবে দমনের হুঁশিয়ারি
১২ মে ২০১৯ ১৫:০৩
ঢাকা: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমে প্রতারণা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, ‘কেউ যেন প্রতারণার আশ্রয় না নিতে পারে এজন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমরা অনেক পরিবর্তন এনেছি। প্রথমবারের মতো অভিভাবকের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের পিন নম্বর বাধ্যতামূলক করেছি। এরপরও যদি কেউ প্রতারণা করে, তাহলে তাকে দমন করার জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রোববার (১২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে এই ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহামুদ উল হক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যেন প্রতারণা ও ভোগান্তির শিকার না হয় সে ব্যাপারে আমাদের মন্ত্রণালয় সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
এ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় টানা পঞ্চমবারের মতো অনলাইনে সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। একইরকমভাবে বিশ্ববিদ্যালয়েও গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। আগামী বছরই সে কার্যক্রম শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, এ বছর তিন ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ধাপে জিপিএ ৫ ও দ্বিতীয় ধাপে জিপিএ ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে। তৃতীয় ধাপে ভর্তি হবে বাকি সবাই। এ বছর কেউ ভর্তি থেকে বঞ্চিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে একাদশ শ্রেণিতে অনানুষ্ঠানিক ভর্তি কার্যক্রম রোববার মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে অনলাইনে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আবেদন করতে পেরেছে শিক্ষার্থীরা। আবেদন করা গেছে এসএমএসের মাধ্যমেও।
এদিকে, ভর্তির জন্য আবেদনকারীর বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর এবার বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। ২০১৭, ১৮ এবং ১৯ সালে যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছেন তারাই এবার ভর্তি হতে পারবে। মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ১২টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ২৩ মে পর্যন্ত চলবে একাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া। ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি শেষ করে আগামী ১ জুলাই সারা দেশে একযোগে শুরু হবে ক্লাশ।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২২লাখ আসন রয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের ২ হাজার ৭৬৩টি প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখ আসন রয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস/এসএমএন