সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের যৌন নিপীড়ন ও হামলার প্রতিবাদে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
সোমবার ঢাবি’র অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবীব রুমন।
এসময় তিনি বলেন, ‘এখন থেকে দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যলয়ে কোনো শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা প্রতিহত করা হবে।’
মাসব্যাপী কর্মসূচিগুলো হলো- হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বহিস্কারের দাবিতে ৩১ জানুয়ারি মিছিল। ১-১৫ ফেব্রুয়ারি দাবি পক্ষ পালন, এসময় দাবির পক্ষে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পাঠানো। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হামলা ও অনিয়মের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে ঢাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে আন্দোলনে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা ঢাবি প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে। পরে ওইদিন বিকেলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে দাবি না মানায় পুনরায় আন্দোলন শুরু হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে। সেখানে পুনরায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এসময় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে হামলার বিভিন্ন ছবি। এরপর ২৯ জানুয়ারি ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ধর্মঘটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করে ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন:
ঢাবিতে নিপীড়ন বিরোধীদের ধর্মঘট চলছে
রাবিতে ধর্মঘটে ছাত্রলীগ-ছাত্রজোট হাতাহাতি
ছাত্রলীগের নিপীড়নের প্রতিবাদে জাবিতে ধর্মঘট
ঢাবি প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করবে নিপীড়ন বিরোধীরা
শাবিপ্রবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলা
https://www.youtube.com/watch?v=lf8MsZ7AUCY
ছবি: হাবিবুর রহমান
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস