শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড
১৩ মে ২০১৯ ১৭:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মেলায় ঘুরতে যাওয়া সাত বছরের এক শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আড়াই বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটেছিল।
সোমবার (১৩ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ জজ) আব্দুল হালিম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আরশাদুর রহমান এরশাদ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ূব খান।
মামলার এজাহারের ভিত্তিতে পিপি আইয়ূব খান সারাবাংলাকে জানান, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কাসাইট্যা গ্রামে দুই দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আসামি আরশাদুর রহমান এরশাদ মেলায় মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর একটি দোকান দেন। তার বাড়িও একই উপজেলায়।
কাসাইট্যা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তোবা মণি (৭) মেলায় ঘুরতে গিয়ে এরশাদের দোকান থেকে চুলের ফিতা কেনে। সে সময় এরশাদের নজরে আসে তোবা মণি। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে তোবা মণি একাই বাড়ি ফিরছিল। পথে এরশাদও তার পিছু নেয়। একা পেয়ে এরশাদ তাকে তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলে একটি শিমক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে যায় এরশাদ।
পর দিন ২১ ডিসেম্বর তোবা মণির বাবা শফিকুল ইসলাম মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ জঙ্গল থেকে লাশ উদ্ধারের পর শফিকুল বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এরশাদকে গ্রেফতার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল এবং আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি বিচারের জন্য আসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামির দোষ স্বীকার করে দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এটি