আমিরাতের উপকূলে দুই সৌদি তেলের ট্যাংকারে অতর্কিত হামলা
১৩ মে ২০১৯ ১৯:১৫
ওমান উপসাগরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে সৌদি আরবের দুই তেলের ট্যাংকার অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছে। রোববার (১২ মে) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ। তবে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। খবর বিবিসির।
খালিদ জানান, হরমুজ প্রণালী সংলগ্ন ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরের নিকটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তেলবাহী জাহাজগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, মোট চারটি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি জাহাজ ছিল সৌদি আরবের। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরানও। বলেছে, এই ঘটনা উদ্বেগজনক ও ত্রাসজনক। এ ঘটনায় একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ইরান।
সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী জানান, হামলার শিকার হওয়া একটি জাহাজে ছিল সৌদির জাতীয় তেল উৎপাদনকারী ও রফতানি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকোর অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তানুরা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
হামলার পর থেকে পুরো অঞ্চলজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখান দিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এখানে দিয়ে পরিবহণ করা হয়। সম্প্রতি সেখানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন সেনারা ও এই অঞ্চল দিয়ে আসা-যাওয়া করা জলযানগুলো ইরানি হুমকির মুখে রয়েছে। তবে ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে দেশটির ওপর আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। ফলস্বরূপ ইরান থেকে তেল আমদানিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় এর প্রধান আমদানিকারকরা। পরবর্তীতে তুরস্কসহ এরকম আমদানিকারকদের ইরান থেকে তেল আমদানি করতে নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি সে অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান গত মাসে জানিয়েছে, যদি এই অব্যাহতি তুলে নেওয়া হয় তাহলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে তারা।
সারাবাংলা/আরএ