‘অর্থ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করবে না দুদক’
১৪ মে ২০১৯ ০২:৩০
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি এবং প্রতারণা করে ব্যাংকের অর্থ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কমিশন দেরি করবে না। তিনি বলেন, ‘জনগণের অর্থ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি করলে তাদের বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে কমিশনের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দুদকের ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এরপর বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট। ব্যাংক তার নিজস্ব বিধি-বিধান অনুসারে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করবে। কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য যারা ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ঋণ নিয়েছেন বা ঋণ দিয়েছেন তারা জনগণের এই অর্থ সমন্বয় করুন নইলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।’
রাষ্ট্রপতি শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন ইকবাল মাহমুদ। তিনি জানান, শ্রেণিকক্ষে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূলে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মীদের যদি কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের খবর আসে তা যেন কমিশনের নজরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
দুদক সরকারের তল্পিবাহক বলে অভিযোগ রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অসম্ভব। দুদক কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। যে কারণে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারকে দাখিল না করে রাষ্ট্রপতির কাছে এসে দাখিল করছি। দুদকের তল্পিবাহক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
দুদক শুধু চুনোপুঁটিদের ধরে এমন অভিযোগের বিষয়ে জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ দেশের প্রায় ৮০ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তারাই এই কথিত চুনোপুঁটির দুর্নীতি, অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে শিকার। কারণ তৃণমূলে এইসব চুনোপুঁটিরাই সরকারি সেবা দিয়ে থাকেন।’ এইসব চুঁনোপুটিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ও সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত।
সারাবাংলা/এসজে/এমও