কক্সবাজারে আলাদা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গাসহ তিনজনের মৃত্যু
১৪ মে ২০১৯ ১১:৩৭
কক্সবাজার: কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে আলাদা `বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোরে টেকনাফের বাহারছাড়া শামলাপুর মেরিনড্রাইভ সড়ক এলাকায় ও কক্সবাজার শহরের কলাতলী কাটা পাহাড় এলাকায় এসব কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অস্ত্র, সাত রাউন্ড গুলি ও ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আব্দুর রহিম’র ছেলে আজিম উল্লাহ, জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া মৃত রহিম আলী’র ছেলে আব্দুস সালাম ও পাহাড়তলী’র রহমানিয়া মাদ্রাসার জহির হাজীর ছেলে ছৈয়দুল মোস্তফা ভুলু।
পুলিশের দাবি, নিহত দুই রোহিঙ্গা মানব পাচারকারী ও ভুলু একজন ইয়াবা বিক্রেতা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, টেকনাফের বাহারছাড়া শামলাপুর মেরিনড্রাইভ সড়ক এলাকায় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা জড়ো হয়েছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। এর ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মানব পাচারকারীরা গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে অন্য মানব পাচারকারীরা পালিয়ে গেলে সেখানে আজিম উল্লাহ ও আব্দুস সালামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী ছৈয়দুল মোস্তফা ভুলুকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি মতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ভুলুর বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিতে আহত হন ছৈয়দুল মোস্তফা ভুলু। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত ভুলুর বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
সারাবাংলা/এসএমএন