নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ৫ ডলারের ‘ঘুষ’
১৪ মে ২০১৯ ১৪:৩২
নিউজিল্যান্ড সরকারকে ড্রাগন নিয়ে গবেষণা করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডর্নকে পাঁচ নিউজিল্যান্ড ডলার ‘ঘুষ’ পাঠিয়েছে এক ১১ বছর বয়সি শিশু মেয়ে। এক চিঠির সঙ্গে ওই অর্থ পাঠায় ভিক্টোরিয়া নামের এক শিশু। তবে এক পাল্টা চিঠিতে তার ঘুষের অর্থ তাকে ফেরত পাঠিয়েছেন আরডর্ন। খবর বিবিসির।
ভিক্টোরিয়া তার চিঠিতে লেখে, তাকে টেলিকেনেটিক শক্তি প্রদান করা হোক যাতে সে ড্রাগনের প্রশিক্ষক হতে পারে। এর জন্য চিঠির খামে ঘুষ হিসেবে ৫ নিউজিল্যান্ড ডলারও পাঠিয়েছে সে। উল্লেখ্য, টেলিকেনেটিক শক্তি হচ্ছে, একধরণের কথিত মানসিক ক্ষমতা যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্পর্শ ছাড়াই তার আশপাশের পার্থিব কোনো বস্তুকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভিক্টোরিয়ার চিঠির জবাব দিয়েছেন আরডর্ন। সরকারি খামে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি ভিক্টোরিয়াকে লিখেছেন, তার প্রশাসন বর্তমানে মনোবিদ্যা বা ড্রাগন নিয়ে কোনো কাজ করছে না।
তবে হাতে লেখা ওই চিঠিতে তিনি আরও বলেন, পুনশ্চ: ওই ড্রাগনগুলো সম্পর্কে আমি খোঁজ রাখবো! তারা কি স্যুট পড়ে?
আরডর্ন ও ভিক্টোরিয়ার মধ্যকার এই চিঠি বদলের ঘটনা প্রথম জানা যায় ওয়েব ফোরাম রেডিটের মাধ্যমে। সেখানে এক রেডিট ব্যবহারকারী দাবি করেন, তার ছোটবোন আরডর্নকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, আমার ছোটবোন চেয়েছিল নিউজিল্যান্ড সরকার টেলিকেনেটিক ড্রাগন বানায়। সে আরও জানতে চেয়েছিল, নিউজিল্যান্ড সরকার ড্রাগন সম্পর্কে কী কী জানে ও তারা কোনো ড্রাগনের খোঁজ পেয়ছে কিনা, পেলে যেন তাকে সেগুলো প্রশিক্ষণের জন্য দেয়।
তার ছোটবোনের এরকম অদ্ভূত অনুরোধের ব্যাপারে ওই ব্যবহারকারী জানান, নেটফ্লিক্স প্রযোজিত টিভি সিরিজ ‘স্ট্র্যাঞ্জার থিংস’ থেকেই টেলিপ্যাথির ওপর আগ্রহ জন্মায় তার। টিভি সিরিজটির একটি চরিত্র টেলিপ্যাথি ব্যবহার করে।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল চিঠিটির জবাব দিয়েছেন আরডর্ন। জবাবে ভিক্টোরিয়াকে চিঠি পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরডর্ন।
তিনি তার চিঠিতে লিখেন, আমরা ড্রাগন ও মনোবিদ্যা নিয়ে তোমার পরামর্শ পড়তে খুবই আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপাতত আমরা এই খাতগুলোতে কোনো কাজ করছি না। তাই, আমি তোমাকে তোমার ঘুষের অর্থ ফেরত পাঠাচ্ছি। টেলেকিনেসিস, টেলিপ্যাথি ও ড্রাগন নিয়ে তোমার অনুসন্ধানে আমার শুভকামনা রইলো।
উল্লেখ্য, এর আগেও শিশুদের চিঠির জবাব দিয়েছেন গতবছর কন্যা সন্তানের জন্মদানকারী আরডর্ন। গত মার্চে লুসি নামের এক আট বছর বয়সি মেয়ে আরডর্নের অস্ত্র নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে এক চিঠি পাঠায়। তাতে সে লিখে, বিপজ্জনক অস্ত্র নিষিদ্ধ করে দেওয়া একটা ভালো পদক্ষেপ।
তার চিঠির জবাবে আরডর্ন বলেছিলেন, আমি তোমার চিঠি পড়ে বুঝতে পেরেছি যে তুমি খুবই দয়ালু ও সহানুভূতিশীল একজন মেয়ে, লুসি। আমি চাইবো তুমি আজীবন এভাবে সহানুভূতি ছড়াতে থাক।
সারাবাংলা/আরএ