বগুড়ায় মামীকে খুন করে ভাগ্নের আত্মহত্যা
১৪ মে ২০১৯ ১৪:১০
বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মামী আলেয়া বেগম (৩৬) কে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করেছেন ভাগ্নে আপেল। এরপর ধারালো বাটাল (বাটালি) দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে মোকামতলা ইউনিয়নের ভাকখোলা পূর্বপাড়া গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সনাতন চন্দ্র জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মামী আলেয়া বেগমের ঘাড়ে ও মাথায় ধারালো বাটাল দিয়ে কয়েকবার আঘাত করেন আপেল। এতে ঘটনাস্থলেই আলেয়ার মৃত্যু হয়।
এরপর স্থানীয় লোকজন আপেলকে ধাওয়া করলে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি পরিত্যক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেই গ্রামের লোকজন তাকে ধরার জন্য ভিড় করলে আপেল বাটাল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন।
পরে খবর পেয়ে মোকামতলা ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। এছাড়া শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আলেয়া ও আপেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আলেয়া শিবগঞ্জ উপজেলার ডাকখোলা পূর্বপাড়া গ্রামের ছাইদুর ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। আপেল একই উপজেলার টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। আপেলের বাড়ি টেপাগাড়ী হলেও তিনি ভাকখোলা পূর্বপাড়া গ্রামে তার মামার বাড়িতেই থাকতেন।
তবে কেন আপেল তার মামীকে খুন করেছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহই এই হত্যাকাণ্ডের কারণ।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএমএন