চট্টগ্রামে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার
১৪ মে ২০১৯ ১৬:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোরে মো. ফয়জুল্লাহ নামে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের মনকির চরের মইন্যাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সারাবাংলাকে জানান, গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল গ্রামের একটি মাদ্রাসায় ১৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে ফয়জুল্লাহ। মেয়েটি ওই মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী এবং ফয়জুল্লাহ একই মাদ্রাসার শিক্ষক।
মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে পশ্চিম চাম্বল গ্রামের কয়েকজন ছেলেমেয়ে মাদ্রাসায় ফয়জুল্লাহ’র কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। ঘটনার দিন অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে তাকে বসিয়ে রাখে ফয়জুল্লাহ। সবাই চলে যাবার পর মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে সে। রাত সাড়ে ৯টার পরও মেয়ে বাড়িতে না যাওয়ায় মা-চাচীসহ কয়েকজন মিলে তাকে খুঁজতে মাদরাসায় যায়। সেখানে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে ও তাদের সবকিছু খুলে বলে। কিন্তু ততক্ষণে ফয়জুল্লাহ পালিয়ে যায়।’
মেজর মেহেদী আরও জানান, মেয়েটির পরিবার মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহমুদউল্লাহ’র কাছে এই বিষয়ে বিচার দেয়। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ধর্ষক ফয়জুল্লাহ’র নিকটাত্মীয়। তিনি ফয়জুল্লাহ’র সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেবার কথা বলে সময়ক্ষেপণ শুরু করেন। কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু ফয়জুল্লাহ আর গ্রামে ফিরে আসেনি।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, সালিশ বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় গত সপ্তাহে মেয়েটির মা চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের পাশাপাশি বাঁশখালী থানাকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন।
সোমবার (১৩ মে) রাতে ফয়জুল্লাহ নিজ গ্রাম চাম্বলের মনকির চরে আসে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান মাশকুর রহমান।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ