তেলের ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইরান, সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্রের
১৪ মে ২০১৯ ২১:৩০
আরব আমিরাত উপকূলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া তেলের ট্যাংকারগুলোতে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জাহাজগুলোর ক্ষতি করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও সিবিএস’সহ বেশ কিছু গণমাধ্যম নাম প্রকাশ না করে একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, হামলায় ‘ইরান’কে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করা হয়নি। খবর বিবিসির।
এর আগে, গত ১২ মে হরমুজ প্রণালী সংলগ্ন ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরের নিকটে ৪টি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে ক্ষতি করা হয় বলে দাবি করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত। হামলার শিকার হওয়া দুটি জাহাজ সৌদি মালিকানাধীন। অন্যদুটি নরওয়ের ও আর-আমিরাতের। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই সাগর পথে পরিবহন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ইরান হুমকি দিয়েছিল তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের এক সংবাদে বলা হয়েছে, ইরানকে শায়েস্তা করতে মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ ২০ হাজার সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। আগামী কয়েক মাসে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইরানকে উচ্চমাত্রার পরমাণু প্রযুক্তি ও বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে দেশটির সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল, ছয়টি বৃহৎ শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তবে ২০০৮ সালের ৮ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে ‘এখনো হুমকি’ উল্লেখ করে ওই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। তখন পরমাণু চুক্তি বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে নতুন সংকট শুরু হয়।
এছাড়া, সম্প্রতি ইরানের এলিট বাহিনী ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানও গত ৮ মে ঘোষণা দেয় আবারও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের। তাই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নৌবহর ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়। সর্বশেষ, মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটলো।
অপরদিকে, ইরান তেলের ট্যাংকারে হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। তারা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করে।
সারাবাংলা/এনএইচ