কিশোরকে চিকিৎসকের পেটানোর ঘটনায় ২ তদন্ত কমিটি
১৫ মে ২০১৯ ১২:১৪
বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে মাকে মেঝে থেকে বেডে তোলায় এক কিশোরকে চিকিৎসকের মারধরের ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, অন্যটি জেলা প্রশাসন।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এছাড়া ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসায় তারাও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১০ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলার কাকচিড়া এলাকার বাসিন্দা দুলু বেগম। ভর্তি হলেও হাসপতালের বেডে জায়গা পাননি তিনি। মেঝেতে বিছানা করেই ছিলেন। ১৩ এপ্রিল সকালে হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছেলে জিলানী হাসপাতালে এসে দেখতে পায় মা মাটিতে কাতরাচ্ছেন। এসময় পাশের একটি খালি বিছানায় মাকে ওঠায় জিলানী। তবে এতে হাসাপতালের সেবিকারা বাধা দেন।
এনিয়ে নার্সদের সঙ্গে তর্ক হয় জিলানীর। এক পর্যায়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আনোয়ারুল্লাহকে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক আনোয়ারুল্লাহ সেখানে উপস্থিত হয়ে কিশোর জিলানীকে বেধড়ক মারতে শুরু করেন। মারামারির এমন দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে ওই কিশোরের এক বন্ধু। পরে সেটি সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ৫৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ডা. আনোয়রুল্লাকে দেখা যায় কিশোর জিলানীকে ক্রমাগত মারধর করতে।
ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. আনোয়ারুল্লা।
চিকিৎসা নিতে আসা দুলু বেগম ও তার ছেলে জিলানীর দাবি, বেড খালি থাকলেও মেঝেতে ফেলে রাখার প্রতিবাদ করায় প্রথমে নার্স ও পরে ওই চিকিৎসক তাদের উপর চড়াও হন। অসুস্থাবস্থায় ছুটে এসে ছেলেকে বাঁচাতে চেষ্টাও করেন দুলু বেগম। কিন্তু কিছুতেই চিকিৎসক আনোয়ারুল্লাহকে নিবৃত্ত করা সম্ভব হয়নি।
তবে নিজের দোষ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল্লাহ। তার দাবি, কিশোর জিলানী হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সে ওই চিকিৎসকের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ও তার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে।
সারাবাংলা/এসএমএন