যুক্তরাজ্য: জুনের প্রথম দিকে ব্রেক্সিট কার্যকর ইস্যুতে ভোট
১৫ মে ২০১৯ ১৩:১২
ক্ষমতাসীন ব্রিটিশ সরকার ও বিরোধীদল লেবার পার্টি ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোনো চুক্তিতে সম্মত হোক বা না হোক, আগামী জুনে চুক্তি কার্যকর ইস্যুতে পার্লামেন্টে ভোট দেবেন সাংসদরা। মঙ্গলবার(১৪ মে) এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর বিবিসির।
চলতি বছর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে প্রস্তাবিত একটি চুক্তি টানা তিন বার পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে সম্মত হতে পারেনি তারা।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জুনের ভোটটি প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে হওয়া ভোটের মতো অর্থবহ হবে না।
লেবার পার্টির এক সূত্র জানিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে তারা জুনের ভোটে মে’র চুক্তির পক্ষে সমর্থন জানাবে না।
এ বিষয়ে বিবিসির ইয়াইন ওয়াটসন বলেন, ইইউ প্রত্যাহার বিলটি এগিয়ে নিয়ে আসার ফলে মে এখন তার প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট সরবরাহ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রস্তাবিত সময়সীমা লেবার ও কনজারভেটিভদের ক্রস-পার্টি চুক্তির জন্য খুব বেশি আলোচনার সুযোগ দেবে না। উল্লেখ্য, মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার আগেই ব্রেক্সিট চুক্তি নিশ্চিত করবেন তিনি। মঙ্গলবার লেবার নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মে। পরবর্তীতে তিনি আলোচনাটিকে উপকারী ও গঠনমূলক বলে বর্ণনা করেন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে মে’র ব্যর্থতায় তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে কনজারভেটিভ এমপি ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার ব্যাপারেও ভাবছেন তারা। লেবার পার্টির এক মুখপাত্র জানান, কনজারভেটিভদের এসব বিবৃতিতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন করবিন।
তবে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভ বারক্ল্যা বলেন, লেবার ও কনজারভেটিভদের গত নির্বাচনের ইশতেহার বিবেচনা করে ও জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ব্রেক্সিট সরবরাহ করতে পার্লামেন্টের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে নিজ নিজ ইশতেহারে ব্রেক্সিটের পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উভয় দল।
সারাবাংলা/আরএ