বিশ্রামে আছেন কাদের, কাজে যোগ দেবেন দুয়েকদিন পর
১৬ মে ২০১৯ ১২:২২
ঢাকা: প্রায় আড়াই মাসের চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুয়েকদিন বিশ্রাম শেষেই তিনি কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। আর তখনই তিনি নিজের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে যাবেন। এছাড়া, আগামী সপ্তাহেই সড়ক-মহাসড়ক পরিদর্শনেও বের হবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে ওবায়দুল কাদের তার নিজ বাসায় নাস্তা করেন। এরপর থেকে সেখানেই তিনি অবস্থান করছেন। একান্ত ঘনিষ্ঠ ছাড়া তার সঙ্গে সাক্ষাৎ বা দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না কেউ।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঋণ আরও বেড়ে গেল: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দুয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ মেনেই আপাতত নিরবচ্ছিন্ন বিশ্রামে থাকতে চান ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছেরও সারাবাংলাকে জানান, ওবায়দুল কাদেরের মন্ত্রণালয়ে আসার বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য নেই। মন্ত্রী বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।
প্রায় আড়াই মাসের চিকিৎসা শেষে বুধবার (১৫ মে) দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে আবেগাপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সরকারের এই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
এর আগে, ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে ওবায়দুল কাদের নিজে হেঁটে ফ্লাইট থেকে নামেন। এরপর শত শত নেতাকর্মীর ভিড় ঠেলে ভিআইপি লাউঞ্জে গিয়ে আসন নেন। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে আবেগ ভরা কণ্ঠে তার চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কাদের।
আরও পড়ুন- সুস্থ হয়ে ফিরলেন ওবায়দুল কাদের
এদিকে, মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের থাকার কথা রয়েছে। সেতুমন্ত্রীর একান্ত সূত্র জানায়, কাজ দ্রুত শেষ হয়ে এলে যেন নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতু খুলে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই দুই সেতু পরিদর্শনেও যেতে পারেন বলে জানা গেছে।
গত ২ মার্চ ভোররাতে ঢাকায় নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. ফিলিপ কোহে’র নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা করে।
সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি করা হয়। সার্জারি করেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের।
সারাবাংলা/এসএ/টিআর