১০০ দিনের কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়িত, দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
১৬ মে ২০১৯ ১৪:২০
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ গঠনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত ১০০ দিনের কর্মসূচি পুরোটাই বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের ভিত্তিতে আমরা ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলাম। এই কর্মসূচি আমরা পুরোটাই বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, প্রতিটি হাসপাতালকে মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসকদের উপস্থিতির হার ৪০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই চিকিৎসকদের উপস্থিতির হার একশ ভাগে চলে আসবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, এরই মধ্যে সাড়ে তিনশ চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগে কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অনুমোদন পেয়েছি। আগামী বছরও বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিটি হাসপাতালের সেবার মূল্যতালিকা টাঙানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালের ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। সেখানে যে কেউ অভিযোগ বা পরামর্শ দিতে পারবেন। রোগীদের সুবিধার জন্য উপজেলা পর্যায়েও হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শিগগিরই চালু করা হবে। এসবেরই মূল লক্ষ্য, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্যক্রম আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশেষায়িত এই হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি এরই মধ্যে এসে গেছে। সেগুলো বসানোর কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, এই আইনটি মন্ত্রিপরিষদে আলোচনার জন্য রয়েছে। আশা করছি আসছে অধিবেশনে এটি সংসদে উত্থাপন করা সম্ভব হবে। তবে আগামী অধিবেশনটি বাজেট অধিবেশন। কোনো কারণে এই অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করা না সম্ভব বলে পরবর্তী অধিবেশনে অবশ্যই করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারিা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর